খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার ১০টি উপায়
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়ে। রাতে ভালো ঘুম হয় না। ঘুম আসতে দেরি হয়। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে এর সমাধান কি? অনেকে আছে যে নিদ্রাহীনতায় ভোগে এর ফলে দিনের বেলা হাই তুলতে থাকে কাজে মনোযোগ দিতে কষ্ট হয় সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে।
সূচিপত্রঃ খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায়
- এক নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- দুই নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- তিন নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- চার নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- পাঁচ নাম্বার সমস্যা ও সমাধানচ
- ছয় নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- সাত নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- আট নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- নয় নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- দশ নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
- আমাদের শেষ কথা
এক নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘুমানোর সময় মানুষের নানান ধরনের চিন্তা মাথায় আসে। ফলে তারাতারি ঘুম আসেনা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পদ্ধতি রয়েছে এই পদ্ধতি কে বলা হয় ওয়ারি টাইম মানে চিন্তার সময়। অর্থাৎ দিনের বেলায় কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার সকল দুশ্চিন্তা গুলো নিয়ে ভাবার সময়। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি আপনার সকল দুশ্চিন্তা নিয়ে ভাববেন তাহলে দিনের বেলায় এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
আরো পড়ুনঃ বসন্ত রোগ থেকে বাঁচার সাতটি উপায়
তাহলে রাতে ঘুমাতে গেলে আর আপনাকে দুশ্চিন্তা বিরক্ত করবে না এবং খুব তারাতারি ঘুম আসবে। কিন্তু ঘুমানোর সময় যদি আবার নতুন দুশ্চিন্তা আসে তাহলে নিজেকে বলবেন এই দুশ্চিন্তা নিয়ে ভাবার সময় আগামীকাল। সাধারণত এভাবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।
দুই নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে চা-কফি কোমল পানীয় আর এনার্জি ড্রিংকস কারণ হল এগুলোতো আছে ক্যাফি। ক্যাফে কি করে? ক্যাফে ঘুম আসতে দেয় না এবং ঘুম আসলেও তা গভীর হতে দেয় না। তাই খুব তারাতারি ঘুম না আসলে এগুলো না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে ঘুমের 6 ঘণ্টা আগে এগুলো সব থেকে ভালো। এটি একটি খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায়।
তিন নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম না আসলে উপরে যে সব খাবার খেতে নিষেধ করা হলো তা থেকে বিরত থাকবেন এবং ঘুমানোর আগে যা খাবেন তা হল। ঘুমানোর আগে গরম দুধ খাবেন কারণ গরম দুধে ভিটামিন গবেষণায় দেখা গেছে দুধ ঘুম আসতে সাহায্য করে এবং গভীর ঘুম আসতে সাহায্য করে। যদি সঠিক ভাবে ঘুমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন রাতে দুধ খেয়ে ঘুমাতে হবে।
চার নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
নিদ্রাহীনতায় রোগীদের চিকিৎসার আরেকটি পদ্ধতি হলো যেটি আপনার উপকারে আসতে পারে তা হল ঘুমাতে যাওয়ার আগে একঘন্টা রিল্যাক্স করা। দিনের ব্যস্ততা এবং দুশ্চিন্তা গুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে এই সময়টি ব্যবহার করতে বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ বসন্ত রোগের আটটি লক্ষণ
এক ঘণ্টার মধ্যে যা করবেন তা হলো বই পড়তে পারেন ডায়রি লিখতে পারেন গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন মনে প্রশান্তি আনে এমন কিছু শোনা। যেগুলো কাজ করতে মানা করা হয় তা হল ঘুমানোর আগে টিভি দেখা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা।
পাঁচ নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
যাদের বিছানায় শুয়ে থাকার পরও ঘুম আসে না তাদের এক ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হলো আপনার মস্তিষ্ক শোয়ার আগে এবং বিছানা দেখার পর শুধু ঘুমের চিন্তা করতে পারে। শোবার সময় যেন অনিদ্রার কথা মাথায় না আসে। এই চিকিৎসার বেশ কয়েকটি নির্দেশনা আছে তা হল ঘুম না আসলে জোর করে বিছানায় শুয়ে না থাকা। তাহলে বিছানা থেকে উঠে পাশের রুমে যাবেন বা একটু হাঁটাহাঁটি করবেন। রিলাক্স লাগে এমন কোন কাজ করবেন যতক্ষণ ঘুম না আসে। এবং ঘুম আসলেই বিছানায় যাবেন।
ছয় নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায় ও আরেকটি চিকিৎসা হলো বিছানা শুধু ঘুমের জন্য ব্যবহার করা অন্য কোন কাজের জন্য বিছানা ব্যবহার না করা। আমরা অনেকেই বিছানায় খাবার খাই পড়াশোনা করি মোবাইল ও কম্পিউটার ব্যবহার করেই বাসায় থাকলে দিনের অনেকটা সময় বিছানায় সময় কাটায়। ঘুমের সমস্যা কমাতে চাইলে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
সাত নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
অনেক নিদ্রাহীনতা রোগী ঘুম না আসার কারণে ঘড়িতে সময় দেখে দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এটা তাদের ঘুমের উপর একটা খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই তাদেরকে ঘড়ির দিকে না তাকানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
কি কি উপায়ে এটা করা যেতে পারে? ঘড়ির মুখ উল্টোদিকে দেয়ালে ঘড়ি থাকলে সেটা নামিয়ে নেওয়া। আর ফোনটা দূরে রেখে ঘুমানো। এটি একটি খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায়।
আট নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
গবেষণায় দেখা গেছে অনেকের মনে ঘুম নিয়ে এমন কিছু ধারনা থাকে যা দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়। তা ভালো এবং খুব তারাতারি ঘুম আসতে বাধা দেয়। কি সেই চিন্তা গুলো? তা হল প্রতিদিন আমাকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। যখন 8 ঘন্টা ঘুমানো আপনার জন্য সম্ভব নয়। আজকে ঘুম না হলে কালকে অফিসে ভালো কাজ করতে পারবো না বা পরীক্ষায় ভালো করতে পারব না ইত্যাদি নিয়ে না চিন্তাভাবনা করা।
আবার মাঝরাতে চিন্তাভাবনা শুরু করলেন যে নিদ্রাহীনতা আমার কখনোই ভালো হবে না সারাজীবন থাকবে। আপনার মাথায় যদি তেমন চিন্তা আসে তাহলে সেটাকে ধরে ফেলবেন এবং ঠান্ডা মাথায় বোঝাবেন এই চিন্তাগুলো করা যাবেনা তাহলে খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়া যাবে।
নয় নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
ঘুমানোর আগে আগে অনেক বেশি করে খাবার খেলে কারও কারও ঘুম নাও হতে পারে। যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা আছে তাদের ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাহলে ঘুমানোর সাথে সাথে খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দশ নাম্বার সমস্যা ও সমাধান
ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে কারণ নিকোটিন একটি উত্তেজক পদার্থ। যারা ধূমপান করেন তারা সহজে ঘুমাতে পারেনা ঘনঘন ঘুম ভেঙে জেগে উঠে এবং প্রায়ই তাদের ঘুমের ব্যাহত হয়। একবারে সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা সম্ভব না হলে অন্তত ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে যে রাতে তারাতারি ঘুম আসেনা ঘুম আসতে অনেক দেরি হয় তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরের দশটি নিয়ম যদি আপনারা মেনে চলে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায় জানতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে উপরের প্রত্যেকটি নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। ওপরে তাড়াতাড়ি ঘুম না আসার কারণ এবং খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায় গুলো জানানো হলো।
এই উপায়গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে পালন করেন এবং সমস্যার সমাধান করেন তাহলে আপনি খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে পাবেনা। তাই উপরের খুব তারাতারি ঘুমিয়ে যাওয়ার উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনার রাতে ভাল ঘুম আসবে।
আজকের ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url